কেন বই পড়ব এবং কেন এই বই পড়ব, কেন আমরা বই পড়ব? এর একটা চুমকার ব্যাখ্যা আছে। ধরুন, কেড় টেলিভিশনে একটা জিনিস দেখে, সেটা টেলিভিশন তাকে সরাসরি দেখায়। এক্ষেত্রে কল্পনার কোনাে দল থাকে না। বিষয়টা সরাসরি দেখা ও দেখানাে হচ্ছে। এর বিপৰীতে বইয়ে একটা কিছু লেখা থাকে; ধরা যাক বইয়ে লেখা আছে নীল আকাশ। পাঠক কিছু বইয়ে নীল আকাশ দেখতে পারছে না। সে নীল আকাশ শব্দটা চোখ নিয়ে পড়ছে। রেটিনা থেকে সেটা তার মগজে যাচ্ছে। মগজ সেটা বিশ্লেষণ করছে। তারপর সে কল্পনা করছে নালি আকাশকে। এই যে প্রক্রিয়াটা, এইটা অত্যন্ত আরাম দায়ক। এই প্রক্রিয়া চালু না থাকলে মেধা সমৃদ্ধ হয় না। সে জন্য যারা শুধু টেলিভিশন দেখে তাদের মাঝে মেধা-সমৃদ্ধির এই প্রক্রিয়াটা সসল হয় না। তার মুক্তিঙ্কে চিস্করা ডালপালা ছড়ায় না। তার মস্তিষ্ক অলস পড়ে থাকে। কিন্তু বই পড়লে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে। এটা হলাে বই কেন পড়তে হবে তার পক্ষে প্রধানতম কারণ। মন্ত্রিক কে উন্নত করার জন্য বই পড়া জরুরি। আর যখন কেউ বই পড়া শিখে যায় তখন তার চিন্তা-চেতনার জগৎ খুলে যায়, অবারিত হয়ে যায়। পৃথিবীতে কত বিচিত্র বিষয়ের ওপরই না বই লেখা হয়েছে। আমরা তাে কখনােই গাজালি, ইবনে সিনা, শাহ ওয়ালিউল্লাহর দেখা পাব না; রুমি, সাদি ও ওমর খইয়ামের দেখা পাৰ না; কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল ইসলাম, ফররুখ আহমাদের সাথেও আমাদের দেখা হবে না। আল-মাহমদকে আর দেখতে পাব শী। আলি নাবি ও আলি মিয়া সিভিকে আর দেখতে পাব না। মাহমুদ দারবিশের সাথেও আর দেখা হবে না। কিন্তু যখন তাদের লেখা বইগুলাে পড়ি তখন মনে হয়। তারা আমাদের পাশেই আছেন। আমাদের সাথেই আছেন। হুমায়ূন আহমেদ চলে গেছেন। কিন্তু তাঁর বইগুলাে রয়ে গেছে। একজন পাঠক যখন তার বই পড়বেন তখন তিনি নিশ্চয়ই অনুভব করবেন হুমায়ুন আহমেদ তার সাথে কথা কলছেন। তার পাশে বসে আছে। এই অনুটা কিন্তু বিশাল একটা ব্যাপার। কাজেই সবার উচিত বই পড়া। সবচেয়ে বড় কথা ছােটবেলায় একবার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠলে ছেলে-মেয়েদের জন্য আর দুশ্চিন্তা তে হবে না। কারণ বই-ই তাকে ভালাে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। ছােটবেলায় এই দেখতে দেখতে ও পড়তে পড়তেই বড় হয়েছি। হুমায়ুন আহমেদ এই যে এতবড় লেখক হয়েছেন তার একটাই কারণ ছিল তিনি অতি অল্প বয়সেই অনেক বেশি বই পড়ার সুযােগ পেয়েছিলেন। কেউ যখন অনেক বই পড়ে তখন তার চিন্তা-চেতনার জগই খুলে যায় । লেখালেখির ক্ষমতা জন্মায়। যারা লেখক হতে চান অবশ্যই তারা এই পড়ন। এবং গল্পের বই দিয়ে পাঠ শুরু করুন। পাঠক! এতটুকু পড়ার পর আশাকরি আর বলতে হবে না, কেন বই পড়ব এবং কেন এই বই পড়ব? দোয়াপ্রার্থী মনযুর আহমাদ সাবেক সম্পাদক, মাসিক রহমত।
বিষয়: Book #220
-113
days
-8
Hrs
-16
min
-23
sec
রাজার মতো দেখতে (মাসিক রহমত কিশোরপাতার গল্প-সংকলন)
লেখক : | মনযূর আহমাদ |
---|---|
প্রকাশনী : | চেতনা প্রকাশন |
বিষয় : | Book |
250.00৳ Original price was: 250.00৳ .97.00৳ Current price is: 97.00৳ .
You save 153.00৳ (61%)
বর্ণনা
অন্যান্য তথ্য
বই | রাজার মতো দেখতে (মাসিক রহমত কিশোরপাতার গল্প-সংকলন) |
---|---|
লেখক | মনযূর আহমাদ |
প্রকাশক | চেতনা প্রকাশন |
সংস্করণ | 1st Published, 2021 |
পৃষ্ঠা সংখ্যা | 392 |
দেশ | বাংলাদেশ |
লেখক
Related products
সন্তান স্বপ্ন দিয়ে বোনা
আকরাম হোসাইন
উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুর সমর্থনে অবতীর্ণ আয়াতসমূহের প্রেক্ষাপট
মুফতি মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মুরতযা
নুর হোসেনের আলোর ম্যাজিক (গল্পে গল্পে বিজ্ঞান-৩)
ড. উম্মে বুশরা সুমনা
গল্পগুলো অন্যরকম
দুই মেরুর হয় নাকো দেখা (গল্পে গল্পে বিজ্ঞান-১)
ড. উম্মে বুশরা সুমনা
চলো, সমুদ্রে যাই (গল্পে গল্পে বিজ্ঞান-৪)
ড. উম্মে বুশরা সুমনা
প্রোডাক্টিভিটি লেসনস
শাইখ ড. মাশআল আব্দুল আযিয আল-ফাল্লাহি
আরবি রস
আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীব
Reviews
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.