ভূমিকা
কিছু স্মৃতি
তখন আমি ইতেদায়ী ভীমতে পড়ি। মনে বড় ভয়। কীভাবে মানুষ বক্তৃতা দেয়? একজন মানুষ অনেক মানুষের সামনে কীভাবে কথা বলে ইত্যাদি নানা প্রশ্ন আমাকে কুড়ে কুড়ে যাচ্ছিল। ভাবতাম, আমি বক্তৃতা দিতে পারব না, কারণ, মানুষের সামনে কথা বলার সাহস আমার নেই। কিন্তু সাহস হারালাম না। সাহসের লাগাম টেনে ধরলাম। তাকে বুঝালাম, বক্তৃতা আমাকে দিতেই হবে। সবার মতাে আমিও বক্তৃতা দি। জীবনের সর্বপ্রথম বক্তৃতা আমাকে স্বাগত জানাল। আমি তার ডাকে লাব্বাই বললাম। শুরু করলাম বক্তৃতার প্রস্তুতি।
রাত তখন এগারােটা। আমি আমার কল্পনার জগতের হাজারাে শ্রোতার সামনে বক্তৃতা দিচ্ছি। কামরা থেকে হুজুর বের হয়ে দেখলেন, আমি বক্তৃতার মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতাচর্চা করছি। আমার মেহনত দেখে হুজুর দু’আ করলেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে, জীবনের সর্বপ্রথম বক্তৃতায় ১ম স্থান অধিকার করলাম। (আলহামদুলিল্লাহ)।
পথ চলা শুরু। ‘আগ্রহ আমাকে পথ দেখাতে থাকে। বক্তৃতার মঞ্চ আমাকে সাহস জোগায়। মঞ্চ’ আমাকে আপন করে নেয়। আর মঞ্চে যেতে আমাকে আগ্রহ এবং শক্তি যুগিয়েছেন, বক্তৃতা পাড়ার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, আমার বড় মুশকি উত্তাদ, হযরত মাওলানা আতিকুর রহমান মাসউদ দামাত বারাকাতুহুম। (সাবেক সিনিয়র মুহাদ্দিস, দারুল উলুম দত্তপাড়া মাদ্রাসা নরসিংদী) সত্যিই আমার জীবনের বড় ছায়া তিনি। তার অন্ত মেহনত আর পরিশ্রমের বদৌলতেই বক্তৃতার মঞ্চে অধমের যাত্রা। দুঃসাহস করে আমি একথাও বলতে পারি, হযরতের হতে রোপন করা অসংখ্য বৃক্ষের আমি এক বৃক্ষ”। (আলহামদুলিল্লাহ)।
Reviews
Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.